মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সময় ভারতে গড়ে ওঠা আঞ্চলিক শক্তি HS History Suggestion 2024 | Pdf Download

মুঘল সাম্রাজ্যের পতন কালে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তি
 1707 খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোগল সাম্রাজ্য পতনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এই সুযোগে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি স্বাধীন ও অর্ধ স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে। মোগল প্রদেশগুলোর কয়েকজন শাসক ও মোগল সম্রাটের প্রতি নামেমাত্র আনুগত্য জানিয়ে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে থাকেন। মোগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি স্বাধীন বা অর্ধ স্বাধীন আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলা, হায়দ্রাবাদ, অযোধ্যা, মহীশূর, মারাঠা ইত্যাদি। এসব রাজ্যগুলির অষ্টাদশ শতকে ভারতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Hs History Suggestion 2022
Hs History


১) বাংলা:
মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তার বিশ্বস্ত অনুচর মুর্শিদকুলি খাঁ কে বাংলার দেওয়ান অর্থাৎ রাজস্ব বিভাগের প্রধান কর্মচারী নিযুক্ত করেন 1700 খ্রিস্টাব্দে। 1717 খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা ওড়িশার সুবাদার বা নবাব নিযুক্ত হন। প্রকৃতপক্ষে এই সময় থেকেই বাংলায় স্বাধীন নবাবী সূচনা সূচনা হয়। মুর্শিদকুলি বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রবর্তন করেন। তার পরবর্তি শাসক সুজাউদ্দিন এর আমলে বাংলার সঙ্গে বিহার যুক্ত হয়। পরবর্তী দুই নবাব সরফরাজ খান ও আলীবর্দী খাঁর আমলে বাংলার স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকলেও পরবর্তী নবাব সিরাজউদ্দৌলা 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন। ফলে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়।

মোগল সাম্রাজ্য সম্বন্ধে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন- Click Here

) হায়দ্রাবাদ:-
দিল্লির মোগল দরবারে তুরানি গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা মীর করমউদ্দিন চীন কিলিচ খাঁ বা নিজাম উল মুলক 1722 খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহ এর প্রধানমন্ত্রী বা উজির নিযুক্ত হন। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত আমির-ওমরাহ এবং সম্রাটের বিরোধিতায় বিরক্ত হয়ে তিনি 1724 খ্রিস্টাব্দে উজির পদত্যাগ করেন এবং দাক্ষিণাত্যে চলে যান। দাক্ষিণাত্যের মোগল শাসিত প্রদেশগুলোয় নিয়ে তিনি হায়দ্রাবাদ কে কেন্দ্র করে তিনি প্রায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব শুরু করেন। মোহাম্মদ শাহ তাকে দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা বলে মেনে নেন এবং 'আসফ ঝা' উপাধি দেন।

৩) অযোধ্যা-:
মোগল আমলে অযোধ্যা সুবা বা প্রদেস বলতে বর্তমান অযোধ্যা, বারানসি, এলাহাবাদ ও কানপুরের একাংশকে বোঝায়। 1724 খ্রিস্টাব্দে সাদাত খাঁ অযোধ্যার সুবাদার বা নবাব নিযুক্ত হন। তিনি অযোধ্যায় স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অযোধ্যায় স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। সাদাত খান অযোধ্যায় বংশানুক্রমিক শাসনের ভিত্তি রচনা করেন। অযোধ্যা 1801 খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হলে অযোধ্যা ইংরেজদের অধীনস্থ হয়ে পড়ে।

৪) মহীশূর-:
নিরক্ষর ও ভাজ্ঞান বেশি হায়দার আলী স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। হায়দার প্রথম জীবনে মহীশুরের শাসক নঞ্জরাজের অধীনে একজন সামান্য সৈনিক হিসেবে কাজ করতেন। হায়দার 1755 খ্রিস্টাব্দে দিন্দিগুল এর ফৌজদার নিযুক্ত হন। পরে 1761 খ্রিস্টাব্দে নঞ্জরাজ কে ক্ষমতাচ্যুত করে তিনি মহীশুরের সর্বময় কর্তা হয়ে ওঠেন। এভাবে স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের উত্থান ঘটে। তার পুত্র টিপু সুলতান মহীশূড়ের ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি করেন। তবে চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ টিপু ইংরেজদের কাছে পরাজিত ও নিহত হলে স্বাধীন মহীশুরের পতন ঘটে যে যুদ্ধ হয়েছিল 1798-99 খ্রিস্টাব্দে।

) মারাঠা-:
মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে মারাঠা নেতা শিবাজী দাক্ষিণাত্যে মহারাষ্ট্র কে কেন্দ্র করে শক্তি বৃদ্ধি করেন। শিবাজীর মৃত্যুর পর থেকে একে একে শম্ভু জী, রাজারাম, তৃতীয় শিবাজী প্রমূখ মারাঠা নেতা ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোগলদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে শিবাজীর পুত্র মোগল দের হাত থেকে শিবাজীর পুত্র সাহু মারাঠা সিংহাসনে বসেন। তার আমলে একে একে বিভিন্ন মারাঠা পেশোয়া প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের প্রকৃত শাসন ক্ষমতা দখল করেন। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ মারাঠা ইংরেজদের কাছে পরাজিত হলে মারাঠা রাজ্যের বৃহদংশ ইংরেজদের দখলে চলে যায়।

👉উপসংহার:- উপরি-উক্ত রাজ্যগুলি ছাড়াও অষ্টাদশ শতকে আরো কয়েকটি ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে। 

এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাজপুতানার জয়পুরের অম্বর রাজ্য, আগ্রা ও মথুরা অঞ্চলে জাট নেতা চুরামন ও বদন সিং এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ভরতপুর রাজ্য, আফগান নেতা মোহাম্মদ খা, ব্যোমকেশ এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পাঞ্জাব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। 

এবং এর নেতৃত্বে প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তূপের ওপর গড়ে ওঠা রাজ্যগুলিতে শীঘ্রই ইউরোপের বিভিন্ন উপনিবেশিক শক্তির, বিশেষ করে ব্রিটিশদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অধিকাংশ রাজ্য পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের অধিকারে চলে যায়। 

Our website HOME page
HS history suggestion 2023 পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস সাজেশন নিয়ে আমরা আলোচনা করে থাকে আমাদের এই ওয়েবসাইট। 

তাই উপরে দেওয়া আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজে লিংকে ক্লিক করো এবং আরো কী ধরনের পোস্ট তোমাদের জন্য আমি তৈরি করব তা লিখে জানাও। 

আমি প্রতিনিয়ত ও তোমাদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের সাজেশন এবং আরো মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এর বিভিন্ন বিষয়ে আমি সাজেশন দিয়ে থাকি।

তোমরা ইউটিউব গুগল থেকে অনেক ধরনের সাজেশন পেয়ে থাকবে এবং তোমরা কোন বিষয়ের সাজেশন পেতে চান সেটি নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। 

আমাদের দেওয়া কমন একেবারে নির্ভুল এবং হান্ড্রেড পারসেন্ট কমন যোগ্য। আমার  সাজেশন বিভিন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা করা হয়ে থাকে। যা 2016 সাল থেকে রেকর্ড কমন পড়েছে আজ পর্যন্ত।

তোমরা যদি জানতে চাও যে তোমাদের সবথেকে ভালো কোন বউয়ের সাজেশন এর জন্য উপযুক্ত যদি তোমরা ডিসাইড না করতে পারো তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারো।

সাম্রাজ্যবাদের উদ্দেশ্য:-
বিশেষ কয়েকটি উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে কোন একটি দেশ অপর দেশে সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করে। এই উদ্দেশ্যগুলি হল -:
👉অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ-: সুপ্রাচীন কাল থেকেই অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের লক্ষ্যে নৌ শক্তিতে শক্তিধর দেশ গুলি সাম্রাজ্য বিস্তারে অগ্রসর হয়। 

প্রাচীন রোম বাণিজ্যের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোগী হয়েছিল।

 পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড ফ্রান্স নেদারল্যান্ডস পর্তুগাল স্পেন প্রভৃতি নৌ শক্তিতে শক্তিশালী দেশ গুলির বাণিজ্যিক লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিযান চালায় এবং ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। 

আরো পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটবে কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রয় লক্ষ্যে উপনিবেশ এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। 

এই প্রয়োজনীয়তা মেটানোর লক্ষ্যে ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলো সাম্রাজ্যবাদ কায়েমের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

👉 জাতীয়তাবাদের সম্প্রসারণ-: সাম্রাজ্যবাদের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জাতীয়তাবাদের সম্প্রসারণ। 

একটি দেশ ও পড়তেসে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাঁড়া নিজের দেশের মর্যাদা শক্তি প্রভাব বৃদ্ধি এবং জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করার চেষ্টা করে। 

নিজের দেশের পতাকা অন্য দেশে উড়িয়ে, নিজের দেশের ভাষা সংস্কৃতি অন্য দেশের অধিবাসীদের উপর চাপিয়ে দিয়ে এবং এক আত্মতুষ্টি লাভ করে থাকে। এই ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদী মনোভাব থেকেই অনেকেই নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মনে করে থাকে। 

অনেক সময় কোন দেশের রাজা বা শাসক নিজেদের সূর্য বীর্যের প্রমাণ রাখার জন্য সুবিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতেন। তাই প্রকৃতি বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তার জীবন সংগ্রাম এবং জীবন সংগ্রামে শক্তিশালী ডাক্তার দেখিয়েছেন বিশ্বের দুর্বল যাতে গুঁড়ির ওপর শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্রের প্রভুত্ব স্থাপন প্রভৃতির সাধারণ নিয়ম।

 জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্বীকার করে নিয়ে হনস কোন তাহার ন্যাশনাল ইজম এন্ড ইম্পেরিয়ালিজম ইন দা হাইয়েস্ট ইস্ট গ্রন্থে লিখেছেন জাতীয়তাবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে এবং এই ধরনের আরও পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো করতে পারো এবং আমাদের ফেসবুক পেজ ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে ফলো করতে পারো এবং সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো।

তবে তোমাদের বলে রাখি এখানে যে ইউটিউব চ্যানেলের লিংক টি দেয়া হয়েছে সেটি শিক্ষণীয় ইউটিউব চ্যানেল নয় এটি একটি খবরের ইউটিউব চ্যানেল যেখানে তোমরা প্রতিনিয়ত প্রতিদিনকার খবর নতুন চাকরির খবর লেটেস্ট আপডেট প্রতিনিয়ত পশ্চিমবঙ্গে কি ঘটে চলেছে সমস্ত কিছু দিয়ে থাকি। তাই তোমরা যদি চাও সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন